বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে দ্রুত পরিবর্তন আনছে এডটেক (EdTech) স্টার্টআপগুলো। অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, লাইভ ক্লাস, স্কিল–বেসড কোর্স, AI–নির্ভর লার্নিং অ্যানালিটিক্স এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের মাধ্যমে এসব স্টার্টআপ শহর ও গ্রাম—সব জায়গায় শিক্ষার সুযোগ প্রসারিত করছে। শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সহজলভ্য।
ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন ব্যবহারের বিস্তারের ফলে অনলাইন শিক্ষা দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে।
এডটেক স্টার্টআপগুলো দিচ্ছে—
-
লাইভ ও রেকর্ডেড ক্লাস
-
ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ ও অ্যাসাইনমেন্ট
-
বোর্ড ও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
-
স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স
-
প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন
শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনলাইন ক্লাসে সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় হচ্ছে।
AI–ভিত্তিক পার্সোনালাইজড লার্নিং
অনেক এডটেক স্টার্টআপ AI ব্যবহার করে—
-
শিক্ষার্থীর দুর্বলতা বিশ্লেষণ
-
ব্যক্তিগত স্টাডি প্ল্যান তৈরি
-
প্রগ্রেস ট্র্যাকিং
-
স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন
এর ফলে প্রতিটি শিক্ষার্থী নিজের গতিতে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।
গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ বাড়াচ্ছে এডটেক
গ্রামাঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষক ও কোচিংয়ের অভাব দীর্ঘদিনের সমস্যা।
এডটেক স্টার্টআপগুলো এখন—
-
কম খরচে অনলাইন কোর্স
-
অফলাইন কন্টেন্ট অ্যাক্সেস
-
মোবাইল–ফ্রেন্ডলি লার্নিং অ্যাপ
-
স্থানীয় ভাষাভিত্তিক কন্টেন্ট
দিয়ে এই ব্যবধান কমাচ্ছে।
স্কিল–বেসড শিক্ষায় তরুণদের আগ্রহ
কেবল একাডেমিক পড়াশোনা নয়, এডটেক স্টার্টআপগুলো জোর দিচ্ছে—
-
ফ্রিল্যান্সিং স্কিল
-
ডিজিটাল মার্কেটিং
-
প্রোগ্রামিং ও ডাটা অ্যানালিটিক্স
-
গ্রাফিক ডিজাইন
-
ক্যারিয়ার গাইডেন্স
এর ফলে তরুণরা চাকরির পাশাপাশি আয়মুখী দক্ষতা অর্জন করছে।
বিনিয়োগকারীদের নজরে এডটেক খাত
বিশেষজ্ঞদের মতে,
শিক্ষা খাতের বিশাল বাজার, তরুণ জনসংখ্যা এবং ডিজিটাল রূপান্তরের কারণে এডটেক স্টার্টআপে বিনিয়োগ বাড়ছে।
দেশি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা এই খাতকে দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনাময় সেক্টর হিসেবে দেখছেন।
চ্যালেঞ্জ: কন্টেন্ট মান ও ডিজিটাল বিভাজন
এডটেক খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো—
-
মানসম্মত কন্টেন্ট নিশ্চিত করা
-
অভিজ্ঞ শিক্ষকের অভাব
-
গ্রামে ইন্টারনেট সীমাবদ্ধতা
-
শিক্ষার্থীর মনোযোগ ধরে রাখা
তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রযুক্তি ও পেডাগজির উন্নয়নের মাধ্যমে এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
উপসংহার
বাংলাদেশে এডটেক স্টার্টআপগুলো শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন আনছে।
ডিজিটাল লার্নিং, AI–ভিত্তিক পার্সোনালাইজেশন ও স্কিল–বেসড শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যতের কর্মশক্তি তৈরি হচ্ছে।
শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরে এডটেক স্টার্টআপগুলো গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে।