
৫৪তম বিজয় দিবসে বিশ্বরেকর্ড গড়ার উদ্যোগ: আকাশে উড়ল বিশাল লাল-সবুজ । বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে এক ব্যতিক্রমধর্মী ও ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার গৌরব বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে সবচেয়ে বড় জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। এই উপলক্ষে পতাকা-প্যারাজাম্পিং আয়োজন দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত প্যারাজাম্পাররা আকাশ থেকে বিশাল আকৃতির লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা বহন করে নির্দিষ্ট স্থানে অবতরণ করেন। পতাকাটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নির্ধারিত, যা আগে কোনো দেশ এত বড় আকারে প্যারাজাম্পিংয়ের মাধ্যমে প্রদর্শন করেনি। পুরো আয়োজনটি ছিল অত্যন্ত নিখুঁত পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে পরিচালিত।
এই কর্মসূচি দেখতে বিভিন্ন বয়সী মানুষ, শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত হন। আকাশে পতাকা উড়তেই উপস্থিত জনতার মধ্যে দেশাত্মবোধক আবেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই জাতীয় সংগীত গেয়ে ওঠেন, কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিজয় দিবসের এই দৃশ্য অনেকের কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আয়োজকরা জানান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু বিশ্বরেকর্ড গড়াই লক্ষ্য নয়, বরং নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার মূল্যবোধ আরও গভীরভাবে তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও সাংগঠনিক দক্ষতা তুলে ধরার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরার ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যদি বিশ্বরেকর্ডটি সফলভাবে স্থাপিত হয়, তাহলে তা শুধু একটি ক্রীড়া বা প্রদর্শনী সাফল্য নয়, বরং জাতীয় গৌরবের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে এমন একটি উদ্যোগ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, স্বাধীনতার ইতিহাস শুধু স্মৃতিচারণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে নতুন প্রজন্মের কাছে সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণামূলকভাবে তুলে ধরা জরুরি। এই প্যারাজাম্পিং প্রদর্শনী সেই লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।
সব মিলিয়ে, ৫৪তম বিজয় দিবসে সবচেয়ে বড় পতাকা-প্যারাজাম্পিং প্রদর্শনের উদ্যোগ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরব, আত্মমর্যাদা ও অগ্রযাত্রার এক শক্তিশালী প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে জায়
গা করে নেবে।
Read More:https://dbnnewstoday.com